বিশেষ প্রতিবেদক: আজ বাদ আছর হাটহাজারী মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইউনানী হেকিম হযরত গ্রন্থকীট আল মাদানী জানান,তিনি সম্প্রতি বোরকার একটা বিশেষ বৈগ্যানিক গুণ আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি আরো বলেন যে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী আমাদের মহানবী সেই চৌদ্দশত বছর আগেই এই গুণ বুঝতে পেরেই পর্দার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন।
উপস্থিত সাংবাদিকরা কি সেই বিশেষ গুণ জানতে চাইলে বলেন, ত্বকের সুরক্ষা ও দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে বোরকা। আধুনিক বিজ্ঞান এই সেদিন সানস্ক্রীন লোশন আবিষ্কার করেছে সূর্যের ক্ষতিকর UV রশ্মি হতে বাঁচতে। কিন্তু চৌদ্দশো বছর আগেই নারীদেরকে এই UV রশ্মি হতে বাঁচতে বোরকা পরার প্রচলন ঘটানো হয়। আধুনিক সানস্ক্রীন লোশন শুধু UV-A রোধ করতে পারে কিন্তু UV-B রশ্মি রোধ করতে পারে না। অন্যদিকে আমাদের বোরকা সবধরনের আলোকরশ্মিই রোধ করতে পারে। যার ফলে শরীরের ত্বক আরো উজ্জল ও সজীব থাকে। তাই বলতে চাই, সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে বাঁচার উপায় সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেন আমাদের মহানবী।
একজন সাংবাদিক তাকে বলেন যে,কিন্তু এই বোরকা পরা তো আধুনিক বিজ্ঞান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে ঘোষণা দিয়েছে। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে বোরকা পরিহিতা মহিলারা অন্যদের তুলনায় বেশি সমস্যায় ভোগে। ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দেয়,হাড়ক্ষয়জনিত নানা রোগে ভোগে।
এর প্রতিউত্তরে হেকিম হযরত গ্রন্থকীট আল মাদানী বলেন,
”
নারীদেহে ভিটামিন ডি এর কোন প্রয়োজন নাই। ভিটামিন ডি হাড়-হাড্ডি শক্ত করে, নারী কি কুস্তি খেলবে নাকি যে তাদের হাড্ডি শক্ত হওয়া প্রয়োজন ? হাড্ডি যত নরম হবে ততই ব্রয়লার মুরগির ন্যায় আরামসে চিবানো যাবে| নারী হল শস্যক্ষেত্র,শস্যক্ষেত্র যত নরম চাষ করে তত আরাম । যদি ক্ষতিকরই হত তাহলে পর্দার কথা ইসলামে থাকতো না,অতএব বোরকা উপকারী বলেই প্রমাণ হয়। তাই মহিলাদের বোরকা পরাটা উপকারী হবে।
”
সবশেষে তিনি দেশের ধর্মপ্রাণ জনগণের প্রতি আহবান জানান যে, বোরকা পরা বাধ্যতামূলক করা হোক। এর ফলে মেয়েরা আরো বেশী রুপবতী ও দীর্ঘকাল যৌবন ধরে রাখতে সক্ষম হবে। দেশের নারীসমাজ বোরকার এই বৈগ্যানিক গুণ জানার পরে বোরকা পরার প্রতি আরো আগ্রহী হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।